ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​লক্ষ্মীপুরে বাসে গ্যাস নেয়ার সময় বিস্ফোরণে নিহত তিন, আহত ২০

আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০১:১৩:২১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০৫:৪০:৩৬ অপরাহ্ন
​লক্ষ্মীপুরে বাসে গ্যাস নেয়ার সময় বিস্ফোরণে নিহত তিন, আহত ২০ ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
লক্ষ্মীপুরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। 
নিহতরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার চরমনসারের বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন (৩০), বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৪৫) ও হৃদয় হোসেন (২৩)।
এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ২০জন। সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নাল আবেদিন জানান, আহতদের মধ্যে ১০জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত তিনজন সিএনজির চালক এবং আহতরা বাস ও সিএনজির চালক বলে জানান ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আলআমিন।
ফিলিং স্টেশন, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত পৌনে দু’টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে। এসময় বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চারদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি করে। এসময় ঘটনাস্থলে সিএনজির তিন চালক মারা যান।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহত সুমন হোসেন, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, হৃদয় ইসলাম, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ১০জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চালকরা জানান, দীর্ঘলাইনে দাড়িঁয়ে গ্যাস নিচ্ছিলেন সিএনজির চালকরা। হঠাৎ মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস ফিলিং স্টেশনে এসে লাইনে না দাড়িঁয়ে সরাসরি গ্যাস নিতে চলে যায় এবং পাম্পের অপারেটর বাসের গ্যাস সিলিন্ডার গ্যাস দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজন মারা যায়।
বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নিম্নমানের হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ডা. জয়নাল আবেদিন আরো জানান, আহতদের মধ্যে কারো পা ও কারো হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তাদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

বাংলা স্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে 

ভিডিও প্রতিবেদন : মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে প্রাণহানি : এ দায় কার?
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ